বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পথে বাধাসমূহ

জীবন যাপন | উজ্জল প্রধান ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ০৫:১২ পিএম
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পথে বাধাসমূহ

ধরা যাক, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের জন্য ৫টি অনুমোদিত পদ রয়েছে।সেখানে ৫ জন শিক্ষকই কর্মরত।এখন এই ৫ জনের ভিতর থেকে ১ জন ১৮ মাস মেয়াদী ডিপিএড(ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন) ট্রেনিং এর জন্য নির্বাচিত হয়ে চলে গেলেন পিটিআই (প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট)তে।অন্য আরেকজন মহিলা শিক্ষিকা ৬ মাস মার্তৃত্বকালীন ছুটিতে চলে গেলেন।

এখন এই স্কুলে খাতা-কলমে ৫টি অনুমোদিত পদ কার্যকর থাকলেও দীর্ঘ ৬ মাস পর্যন্ত ৪ জন এবং পরবর্তী ৭ম মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ৩ জন শিক্ষক কর্মরত!প্রাক-প্রাথমিক+(১ম থেকে ৫ম শ্রেনি) মোট ৬ টি শ্রেনিতে পাঠদান করছেন প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র ৩ জন শিক্ষক! প্রধান শিক্ষক অফিসিয়াল কাজে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকায় বাকি ২ জন শিক্ষকেই মূলতঃ ৬টি শ্রেনির পাঠদান করতে হচ্ছে!

এখন এই স্কুলের কোন শিক্ষক যদি অবসরে চলে যান বা অন্য কোন ছুটিতে (নৈমিক্তিক/অর্জিত/চিকিৎসাজনিত...) থাকেন তবে প্রকৃতপক্ষে ১ জন শিক্ষককেই পুরো ৬ টি শ্রেনিতে পাঠদান করতে হচ্ছে!

সাধারনতঃ সারা বছরের পাঠদানের নিমিত্তে প্রতি বছরের শুরুতে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণীত হয়ে থাকে।এখন একটি স্কুলে 'অনুমোদিত পদের সবাই কর্মরত আছেন' এই চিন্তা থেকেই পাঠ পরিকল্পনাটি প্রদান করা হলো !

আমার প্রশ্ন, পোষ্টে উল্লেখিত ৫ পোষ্টের স্কুলে যেখানে মূলতঃ ২ জন শিক্ষক পাঠদানে নিয়োজিত সেখানে এই পাঠ পরিকল্পনাটি কিভাবে পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব!

এর বাইরে রয়েছে পাঠদান বহির্ভূত কাজ তো আছেই!
এখানে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাটা কিভাবে অর্জন হবে!
আমি জানি না, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটা কি!

এখানে ৫ পোষ্টের স্কুলের বিষয় উল্লেখ করলাম!বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রাইমারি স্কুল এমন রয়েছে যেখানে অনুমোদিত পোষ্ট ৫/৬/৭ টি থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ১/২/৩ জন শিক্ষক!এসকল স্কুলে কোন শিক্ষকের অবসর/ডিপিএড ট্রেনিং/মার্তৃত্বকালীন ছুটি/অর্জিত বা অন্যান্য ছুটিজনিত কারণে শিক্ষক ঘাটতি তৈরি হলেও সেখানে বছরের পর বছর এই ঘাটতি নিয়েই চলছে!

আর এর ভূক্তভোগী হচ্ছেন সেখানে পেটের দায়ে কলুর বলদের মত খেটে চলা সেই ১/২/৩ জন শিক্ষক!
ইনশাআল্লাহ,পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও আলোচনা করার ইচ্ছা রইলো!

Side banner