রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের জন্য রিটকারি ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এছাড়া দেশের অন্যান্য সব প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটকারি ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রায় বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে। অবশিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘দশম গ্রেড বাস্তবায়নে সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ। তবে শুধু রিটকারি ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন, এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন। সে কারণে সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি আগামী ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত দেশের সব প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করুক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অধিদফতরের অফিস আদেশে বলা হয়, দশম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি/আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারী অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো এবং চাঁদাবাজি/আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপার্দ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।