শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রস্তাব

জীবন যাপন নভেম্বর ২১, ২০২২, ১০:৪২ এএম
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রস্তাব
সচিবালয়

বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশে ফি নির্ধারণের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ। সম্প্রতি এ প্রস্তাব দিয়ে  চিঠি পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (২০ নভেম্বর) জননিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয় দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কেন্দ্র এবং একটি উচ্চ সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মাত্র ১৭ দশমিক ৫৩ একর জমিতে ১১টি বড়-ছোট ভবন ও ৬টি ক্যান্টিন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিভিন্ন সভায় আগত  সদস্য ও দর্শনার্থীসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন সচিবালয়ে আসা যাওয়া করেন। একইসঙ্গে ৪ থেকে ৬ হাজার যানবাহন সচিবালয়ে প্রবেশ করে।

সচিবালয়ে চাকরিরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে এই প্রবেশ ফি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রবেশপত্রে ছবি থাকবে, একই সঙ্গে চোখের আইরিশ, ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া থাকবে। বেসরকারি ব্যক্তিদের সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য বছরে ৫ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেসরকারি গাড়ির প্রবেশের ক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।

জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-সংস্থার প্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ফি তিন হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদের ক্ষেত্রে আড়াই হাজার টাকা করার কথা ভাবা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কারও কার্ড হারিয়ে গেলে, নষ্ট হলে বা অন্য কোনও কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে, আবারও তা নিতে দুই হাজার টাকা ফি দিতে হবে। বেসরকারি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ ফি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ।

এছাড়া প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সচিবালয়ে বেসরকারি গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ফি হবে ১০ হাজার টাকা। সচিবালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনাগত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যয় তুলে আনার পাশাপাশি পরিচালনা-রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয় বলে  জানিয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, সচিবালয়ে প্রবেশপত্রটি আরও  স্মার্ট ও যুগোপযোগী এবং আরও নিরাপত্তা সংবলিত বিষয়গুলো যেন থাকে, সেজন্য সাজেশন করে আসছিল। এ বিষয়গুলো করতে আমাদের কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়। যারা নেবেন তারাই এ অর্থ দেবেন, আমরা এরকমই মনে করছি। সে জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে এটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

Side banner