রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা এবং যে প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা

জীবন যাপন আগস্ট ৩, ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা এবং যে প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুন্নেছা আক্তারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাস আগে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক লঘুদণ্ড পান তিনি।

তবে রাষ্ট্রপতি সদয় হয়ে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তাকে শাস্তি ও বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে জানানো হয়, ফয়জুন্নেছা আক্তার মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলে কর্মরত থাকাকালে নামজারি মামলা নম্বর ২৯০১ / ২০১৯-২০ এর তফসিলে বর্ণিত পুরানা পল্টন লেন মৌজার ৮৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের ০.০০৩১৫০ একর জমি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ‘খ’ তালিকাভুক্ত থাকার অজুহাতে নামজারি নামঞ্জুর করেন। কিন্তু একই হোল্ডিংয়ের ভিন্ন নামজারি মামলা মঞ্জুর করার কারণে নামজারি মামলার আবেদনকারী গোল্ডেন সন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।

সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে তদন্তে ফয়জুন্নেছা আক্তারের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৩-০১-২০২৩ তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে আগামী দুই বছরের জন্য ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক 'লঘুদণ্ড' দেওয়া হয়।

এতে আরও বলা হয়, ফয়জুন্নেছা আক্তার লঘুদণ্ডাদেশ থেকে অব্যাহতির জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল আবেদন করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে তাকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এজন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ সূচক ‘লঘুদণ্ড’ বাতিল করে বিভাগীয় মামলায় অভিযোগের দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

Side banner