মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুসলিম হয়েও ইসলামিক নাম নিয়ে হাসি তামাশা কীভাবে?

জীবন যাপন | উজ্জল প্রধান ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম
মুসলিম হয়েও ইসলামিক নাম নিয়ে হাসি তামাশা কীভাবে?

আজকাল বিভিন্ন ইসলামিক নাম আমাদের হাসি তামাশার খোরাক হয়ে উঠেছে। একজন মুসলিম হয়েও অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে এই গোনাহর কাজ করে চলেছি। আসুন দেখি এর কিছু উদাহরণ -

১) মোখলেস: টিভি-রেডিওতে ‘প্রাণ ম্যাঙ্গো ক্যান্ডির কল্যাণে’ এই নামটিকে ফান হিসেবেই দেখা হয়। এমনকি যাদের নাম মোখলেস, তারাও এই নাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েন আমরা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি, এই নামটির অর্থ কী ? মোখলেস নামটি আরবি ‘এখলাস’ শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ, একনিষ্ঠভাবে এবাদত করা। আল্লাহর নিকট ইখলাস ছাড়া কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য নয়। আর সেই নামকেই আমরা ফান বানিয়েছি?

২) মফিজ: এটি একটি আরবি নাম, যার অর্থ সফলকাম হওয়া। সাধারণত পরকালের সফলতা বুঝাতেই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। আমরা কে না চাই পরকালে সফল হতে ? তবে কেন ‘ম্যাজিক টুথ পাওডারের কল্যাণে’ এই নাম নিয়ে ঠাট্টা করি। পরকালের সফলতা নিয়ে যদি ঠাট্টা করি, তবে কি আসলেই আমরা পরকালে সফল হতে পারবো?

৩) আবুল: এই নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি ফান করা হয়। আমরা কি এই নামের মাহাত্ম্য জানি? আমাদের নবী (স.) এর উপনাম আবুল কাসেম। যার অর্থ হল "কাশেমের পিতা" ভাবুন, কি নিয়ে ফাজলামি করছি। যেখানে তার নামকে সন্মান করা দরকার ছিলো, সেখানে আমরা তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছি ! হায়রে মুসলিম !

৪) কুদ্দুস: সর্বাধিক ফান করা হয় এই নামটি নিয়ে। অথচ আল্লাহর একটি গুনবাচক নাম। যার অর্থ ‘মহাপবিত্র’। কেউ যদি কাউকে শুধু কুদ্দুস বলে, তবে তার পাপ হবে। কারণ এটি আল্লাহর সিফাতী নাম। বলতে হবে আব্দুল কুদ্দুস। চিন্তা করে দেখুন, আমরা আল্লাহর নাম নিয়েও রসিকতা করছি। আমাদের ঈমানের অবস্থা কেমন?

৫) মমিন: আসলে এর শুদ্ধ উচ্চারণ হবে মুমিন। একজন পূর্ণাঙ্গ ঈমানদারকেই মুমিন বলে। কিন্তু দেখুন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন স্থানে "কস কি মমিন" বলে নামটিকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। এবার বলুন, আর কী নিয়ে আমাদের ফান করা বাকী আছে? আমরা কী একটু সচেতন হতে পারি না? কবে আমরা আমাদের ইতিহাস জেনে নিবো?

৬) মা আমেনা ও ফাতেমা (রাঃ), যারা একজন হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর গর্ভধারীনি মা, আরেকজন তাহার কন্যা যিনি জান্নাতের সরদারনী,কিন্তূ বর্তমানের কিছু ডিজিটাল মেয়েরা এই নাম গুলোকে নিচু করে দেখে,আর ওদের ধারনা যে এই নাম গুলো শুধু বাড়ির কাজের মেয়েদের মানায়, নাউজুবিল্লাহ, একটু ভেবে দেখেছেন? আমরা মুসলমান হয়েও ইসলামকে কতোটুকু মর্যাদায় রেখেছি?,

আর সবশেষে কোরআন মাজীদের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই- "একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্হাপন করলে তাকে মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম।" [সূরা হুজরাত আয়াতঃ১১] আল্লাহ এমন কথাবার্তা থেকে দুরে থাকার, বোঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন। আমিন

Side banner