রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১
ঐচ্ছিক ছুটি কি? কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে যে সমস্ত ছুটি ভোগ করা কর্মচারীর ইচ্ছাধীন, তাহাই ঐচ্ছিক ছুটি। যে কোন সম্প্রদায়ের একজন কর্মচারীকে তাঁহার নিজ ধর্ম অনুযায়ী মোট ৩ (তিন) দিনের মাত্রা পর্যন্ত ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি প্রদান করা যাইবে এবং এই ব্যাপারে প্রত্যেক কর্মচারীকে বৎসরের প্রারম্ভে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার ইচ্ছা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন করাইতে হইবে।
সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সহিত সংযুক্ত করিয়া ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাইবে। ঐচ্ছিক ছুটি মঞ্জুর করা না থাকলে আপনি চাইলে ভোগ করতে পারবেন না। ঐচ্ছিক ছুটি সংক্রান্ত অনুমোদন না থাকলে এ ছুটি দাবী বা ভোগ করা যায় না। ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ বছরের শুরুতে এটি মঞ্জুর করে থাকে তবে বছরের শেষভাগে ছুটির আবেদন করতে হয়।
ঐচ্ছিক ছুটির জন্য আবেদন কখন করতে হয়? ঐচ্ছিক ছুটির আবেদন করতে যদি আপনার মনে না থাকে পরে কি আবেদন করা যাবে?
ঐচ্ছিক ছুটির আবেদন ফেব্রুয়ারি মাসেও করা যাবে না। আবেদন ডিসেম্বর মাসেই করে রাখতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানুয়ারিতে মঞ্জুর করে থাকে।
সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে)- নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যান্ট, ১৮৮১ এর ধারা-৫ এর ব্যাখ্যা অনুসারে সাধারণ ছুটি বলতে সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকারী গেজেটের মাধ্যমে যে সমস্ত দিনকে সাধারণ ছুটি হিসাবে ঘোষনা করা হয়, ঐ সমস্ত দিনকে বুঝাইবে। আইনের উক্ত ধারার অধীনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতি বৎসরের জন্য সাধারণ ঘোষণা করেন। ইহাছাড়া সরকারী বর্ষপঞ্জিতে এই প্রকার ছুটির দিনগুলি লাল কালিতে চিহ্নিত থাকে।
নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি কি?
সরকার সাধারণ ছুটি ব্যতিত যে সমস্ত দিনসমূহকে সাধারণ ছুটির সহিত সংযুক্ত করিয়া বা পৃথকভাবে সরকারী আদেশের বলে কোন একটি নির্দিষ্ট বৎসরের জন্য উক্ত বৎসরের সরকারী ছুটি হিসাবে ঘোষনা করেন, যে সমস্ত দিন বা দিনগুলি নির্বাহী আদেশে সরকারী ছুটি হিসাবে গণ্য। এই প্রকার ছুটি সমূহও গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট বৎসরের সরকারী বর্ষ পঞ্জীতে এই প্রকার ছুটিও লাল কালিতে চিহ্নিত করা থাকে। অবশ্য সরকার যে কোন সময় আদেশের দ্বারা এই প্রকার ছুটির হ্রাস বৃদ্ধি করিতে পারেন।