সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের ৬টি ধাপ জেনে নিন

জীবন যাপন নভেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের ৬টি ধাপ জেনে নিন

ভোটার হিসেবে আপনার যে এলাকায় নাম রয়েছে (ভোটার তালিকায়) সেই এলাকা যদি পরিবর্তন করতে চান, তাহলে সেটা সম্ভব। বিশেষ করে যদি অন্য থানা/উপজেলা, জেলা বা বাসস্থানের কারণে স্থানান্তর চান।

বাংলাদেশে ২০০৮ সালে প্রথম ডিজিটাল ন্যাশনাল আইডি কার্ড চালু হয়। তখন অনেকেই কর্মসূত্রে কিংবা পড়াশোনার কারণে নিজ এলাকা থেকে দূরে ছিলেন। সেখানেই ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন।

তবে এখন নিজ এলাকায় চলে আসার কারণে সেখানে গিয়ে ভোট দেওয়া কিংবা নিজ এলাকায় ভোট দিতে পারছেন না। এছাড়া নিজ এলাকায় ভোটার না হওয়ার কারণে চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট নিতে এবং নানান ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।

এক্ষেত্রে চাইলেই খুব সহজে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। এজন্য কী করতে এবং কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে, সেসব নিয়ে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’য়ের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যানুসারে জানানো হল বিস্তারিত।


ধাপ ১

প্রথমেই নিশ্চিত হন যে, আপনি বর্তমান যে ভোটার এলাকা অনুযায়ী তালিকায় রয়েছেন, সেটি এখন আর আপনার স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানার সঙ্গে মেলে না।

যদি আপনি নতুন এলাকায় (উপজেলা/থানা) ভোটার হতে চান, তাহলে এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের আবেদন দাখিল করতে হবে।

ধাপ ২

এরপর আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক নির্ধারিত ‘ফর্ম-১৩’ সংগ্রহ করতে হবে।

www.ecs.gov.bd/bec/public/files/1/download/migration_form13.pdf

এই নির্দিষ্ট ফর্ম ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয়। সেখানে পুরানো ভোটার এলাকা, নতুন ঠিকানা, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, এবং আবেদন লিখতে হবে।

এরপর ফর্মটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে।

ধাপ ৩

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের জন্য সাধারণভাবে নিচের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়-

নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মূল অথবা ফটোকপি।

বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ (যেমন: বিদ্যুৎ বা পানি বিল, ট্যাক্স রশিদ, বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ইত্যাদি) যাতে নতুন এলাকায় বসবাস করছেন তা দেখায়।

আবেদন ফর্ম ১৩ এর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় দুজন সনাক্তকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার এনআইডি নম্বরসহ নাম, স্বাক্ষর থাকতে হবে।

ধাপ ৪

ফর্ম পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা অথবা থানা নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে আবেদন জমা দিতে হবে।

আবেদন জমা দেওয়ার পর ওই অফিস, আবেদন এবং নতুন এলাকায় আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যাচাই করবে।

১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ভোটার এলাকা পরিবর্তন হবে।

ধাপ ৫

বর্তমানে যে এলাকায় ভোটার আছেন, হতে পারে এটি আপনার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা।

সে এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিজে উপস্থিত হয়ে ভোটার স্থানান্তর ফর্ম (এনআইডি ট্রান্সফার ফর্ম) পূরণ করে জমা দিতে হবে।

ধাপ ৬

ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন অনুমোদন হলেই, ওই এলাকার ভোটার তালিকায় আপনার নাম অর্ন্তভুক্ত হয়ে যাবে। পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আপনি সেই এলাকায় ভোট দিতে পারবেন।

ভোটার এলাকা স্থানান্তরের পর কিন্তু নতুন ঠিকানা যুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্র পাবেন না। অর্থাৎ ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হয় না।

এক্ষেত্রে যদি সংশোধিত জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়, তাহলে এনআইডি ‘রিফিউজ ফি’ পরিশোধ করে জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।

Side banner