মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে পে কমিশনের আলোচনা শেষ হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জাতীয় বেতন কমিশনের কনফারেন্স রুমে বৈঠক শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে সব সচিব উপস্থিত থাকতে পারেননি। সামনে আবারও আলোচনা হবে।” তিনি আরও জানান, আলোচনার পরবর্তী ধাপগুলো দ্রুত শেষ করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আশা করছেন।
সচিবদের মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
বৈঠকে সচিবদের কাছ থেকে নতুন পে-স্কেল প্রস্তাব, বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ, বেতন কাঠামোর সম্ভাব্য রূপ ও পর্যায়ভিত্তিক বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মতামত গ্রহণ করা হয়। কমিশন সূত্র জানায়, এই বৈঠকটি বেতন কাঠামো তৈরির অন্যতম শেষ ধাপ হিসেবে বিবেচিত, কারণ রাষ্ট্র পরিচালনার মূল প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে সচিবদের মতামতই মুখ্য।
এর আগে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের কাছ থেকেও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। সংগঠনগুলোর জমা দেওয়া প্রস্তাব ও বেতনবৈষম্য বিশ্লেষণ করে কমিশন ইতোমধ্যে খসড়া কাঠামোর প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।
নতুন পে-স্কেল কেমন হতে পারে—ছিল বিস্তারিত আলোচনা
সূত্র জানায়, সভায় নতুন পে-স্কেলের সম্ভাব্য রূপরেখা, কোন স্তরে কত বেতন বৃদ্ধি হতে পারে, আর্থিক চাপ, বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং ২০২৫ সাল থেকেই তা কার্যকর করার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
সময়সীমা নিয়ে কর্মচারী সংগঠনের চাপ বাড়ছে
পে কমিশনের ওপর কর্মচারী সংগঠনের চাপও বাড়ছে। নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা না পড়লে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। এ দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১–১৫ অক্টোবর বিভিন্ন নাগরিক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনলাইনে মতামত সংগ্রহ করে কমিশন।
পে কমিশন গঠিত হয়েছিল জুলাইয়ের শেষ দিকে
সরকার গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে চেয়ারম্যান করে ২৩ সদস্যের জাতীয় বেতন কমিশন–২০২৫ গঠন করে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কমিশন গঠনের প্রথম সভার সময় থেকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।