মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
শীতের শুরুতেই সর্দি-জ্বর ও শুকনো কাশির প্রকোপ বেড়ে গেছে। শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গায়ই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে বলছেন, কাশি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, গলার স্বর ভেঙে যাচ্ছে এবং জ্বর সেরে গেলেও দুর্বলতা কাটছে না।
চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল শুরু হলেই বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন—জ্বর মানেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। সাধারণ ভাইরাল জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিন দিনেই কমে আসে। তবে জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
কোন কোন ভাইরাস বাড়াচ্ছে ঝুঁকি
ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ও রোটাভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে। এসব ভাইরাস শ্বাসনালিতে প্রদাহ তৈরি করে, ফলে—
ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এ বছর ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি আরও কয়েকটি শ্বাসতন্ত্র-সংক্রান্ত ভাইরাস সক্রিয় হয়েছে। শীতকালে বাতাসে ধুলোর পরিমাণ বাড়া ও আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ভাইরাস শরীরে প্রবেশের সুযোগ বেশি পায়। তাই হঠাৎ করেই সর্দি-জ্বরের হার বেড়ে গেছে।
টনসিল ও ফ্যারিঞ্জাইটিস—কণ্ঠনালির সাধারণ সমস্যা
গলা ব্যথা ও জ্বরের সবচেয়ে প্রচলিত কারণ হলো টনসিলাইটিস ও ফ্যারিঞ্জাইটিস।
টনসিল ও ফ্যারিংস জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হলেও, অতিরিক্ত সংক্রমণে সেগুলো নিজেই প্রদাহগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়।
এর ফলে—
এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
কি করবেন, কী এড়াবেন
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকদের কিছু পরামর্শ—
কোভিড মহামারির সময় তৈরি হওয়া মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস ফিরিয়ে আনলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে তারা মনে করেন।
জ্বরে কোন খাবার উপকারী
জ্বরের সময় শরীরকে শক্তি জোগাতে সহজপাচ্য খাবার সবচেয়ে ভালো।
এ ধরনের খাবার দ্রুত শক্তি ফেরাতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকদের মতে, তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে বা কাশির প্রকোপ বাড়লে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত।