রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ক্লান্তি, ঠান্ডা অনুভব, ত্বকের শুষ্কতা বা জয়েন্টে ব্যথার মতো সমস্যায় ভোগেন। তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিছুটা কমে আসে। তাই শীতের সময় প্রয়োজন এমন খাবার, যা শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ রাখবে এবং শক্তি জোগাবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অল্প পরিমাণ ঘি যোগ করলে শীতের নানা অস্বস্তি থেকে সহজেই দূরে থাকা যায়। ঘি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং শরীরের সার্বিক সুস্থতায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
উষ্ণতা ও শক্তির প্রাকৃতিক উৎস
ঘি–তে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে তাপ উৎপাদনে সাহায্য করে। বিশেষত যাদের শীত বেশি লাগে বা সারাদিন অবসাদ অনুভব হয়, তাদের জন্য ঘি কাজ করে প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার হিসেবে। সামান্য ঘি নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীর সক্রিয় থাকে এবং দিনভর শক্তি পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতে সর্দি-কাশি ও ভাইরাল সংক্রমণ বেশি দেখা দেয়। ঘি–তে থাকা বিউটাইরেট অন্ত্রকে সুস্থ রাখে, প্রদাহ কমায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ অন্ত্রই সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রধান প্রতিরক্ষা।
ত্বক-চুলের শুষ্কতা কমায়
শীতের বাতাসে ত্বক খসখসে হওয়া বা চুল ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিক। ঘি–র ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরকে ভিতর থেকে পুষ্ট করে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুলকে মজবুত করে। আয়ুর্বেদে ঘিকে ত্বকের পুনরুজ্জীবনকারী খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক
তাপমাত্রা কমলে অনেকের জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। ঘির প্রাকৃতিক লুব্রিকেটিং বৈশিষ্ট্য জয়েন্টকে নরম রাখে এবং নড়াচড়া সহজ করে। নিয়মিত অল্প ঘি খেলে জয়েন্টের stiffness কমে এবং চলাফেরা স্বাভাবিক থাকে।
পুষ্টি শোষণ বাড়ায়
গাজর, পালং শাক, মূলা শাকসহ শীতের সবজিতে থাকা ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে—এসবই ফ্যাট-সোলিউবল ভিটামিন। অর্থাৎ, শরীর এদের শোষণ করতে পারে তখনই, যখন খাবারে স্বাস্থ্যসম্মত চর্বি থাকে। ঘি সেই চর্বির ঘাটতি পূরণ করে, ফলে সবজির পুষ্টিগুণ শরীরে আরও ভালোভাবে পৌঁছায়।