মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কুয়েত ইকামা, ভিসা এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার এনেছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ইকামা নবায়ন, ভিজিট ভিসার মেয়াদ, নির্ভরশীল ফি এবং নির্বাসন বিধি আরও কঠোর করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ দেশটিতে বসবাসকারী সব বিদেশি নাগরিকের জন্য এসব পরিবর্তন তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (২২ নভেম্বর) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে কুয়েত সরকারের এসব নতুন নীতির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ইকামা নবায়নে আর পাসপোর্টের মেয়াদ নির্ভরযোগ্য নয়
কুয়েতের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ইকামার মেয়াদ পাসপোর্টের সাথে সংযুক্ত থাকবে না। অর্থাৎ পাসপোর্টের মেয়াদ কম হলেও ইকামা নবায়ন করা যাবে। তবে আবাসনের জন্য আবেদনকারীর পাসপোর্টে ন্যূনতম ছয় মাস বৈধতা অবশ্যই থাকতে হবে।
সাধারণ আবাসিক ইকামার মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। কুয়েতি নারী বা দেশটিতে সম্পত্তির মালিক বিদেশিদের সন্তানদের জন্য এই মেয়াদ ১০ বছর, আর বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ইকামা নবায়নের ফিও বাড়ানো হয়েছে—
ভিজিট ভিসায় নতুন নিয়ম
আগের তুলনায় ভিজিট ভিসা থেকে ইকামায় রূপান্তরের সুযোগ আরও সহজ করা হয়েছে।
বিশেষ শর্তে—
পারিবারিক ভিসায় স্পন্সর করার জন্য ন্যূনতম বেতনসীমা ৮০০ দিনার। একই বেতনের শর্ত প্রবাসীর স্ত্রী–সন্তান স্পন্সর করতেও প্রযোজ্য। তবে শিক্ষক, প্রকৌশলী, নার্স, ইমাম, সাংবাদিক, ফার্মাসিস্ট, সরকারি গবেষক ও ক্রীড়া কোচসহ কিছু পেশা এই সীমাবদ্ধতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।
নির্ভরশীল ফিতে ব্যাপক পরিবর্তন
নতুন ফি কাঠামো অনুযায়ী—
গৃহকর্মী নিয়োগে সীমা ও বাড়তি খরচ
নতুন নীতিমালায় গৃহকর্মী নিয়োগে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে—
ফিও ভিন্ন—
নির্বাসনের বিধান আরও কঠোর
ইকামা বৈধ থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রবাসীকে নির্বাসন করা হবে, যেমন—
নতুন এসব আইন কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের ওপরও বড় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।