সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কানাডার নাগরিকত্ব আইনে বড় পরিবর্তন, বিদেশিদের জন্য বড় সুখবর

জীবন যাপন নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ১১:১৪ এএম
কানাডার নাগরিকত্ব আইনে বড় পরিবর্তন, বিদেশিদের জন্য বড় সুখবর
কানাডার নাগরিকত্ব আইনে বড় পরিবর্তন, বিদেশিদের জন্য বড় সুখবর

কানাডা তার নাগরিকত্ব আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া বিল সি-৩ রাজকীয় অনুমোদন পেয়েছে, যা নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে আইনটি এখনো কার্যকর হয়নি; ফেডারেল সরকারকে কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

নতুন বিলটি বিশেষভাবে বিদেশে জন্ম নেওয়া সন্তানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য আনা হয়েছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে জন্ম নেওয়া কোনো কানাডিয়ান নাগরিকের সন্তান যদি নিজেও বিদেশে জন্ম নেয়, তবে তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হতো না। এই বিধির কারণে “হারিয়ে যাওয়া কানাডিয়ান” নামের একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে—যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হলেও পুরনো আইন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল।

কানাডার অভিবাসন সংস্থা আইআরসিসি জানিয়েছে, ২০০৯ সালে প্রবর্তিত ‘প্রথম প্রজন্ম সীমা’ অনুযায়ী, যদি কোনো শিশু কানাডার বাইরে জন্ম নেয় বা দত্তক নেওয়া হয় এবং তার পিতামাতা নিজেও বিদেশে জন্ম গ্রহণকারী বা দত্তকপ্রাপ্ত হন, তবে সেই শিশু বংশগতভাবে নাগরিক হিসেবে গণ্য হতো না।

২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর, অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্ট এই সীমার মূল অংশগুলো অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এরপর থেকেই নতুন আইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়।

বিল সি-৩ অনুযায়ী:

  • পুরনো নিয়মে নাগরিকত্ব হারানো ব্যক্তির নাগরিকত্ব পুনঃপ্রদানের সুযোগ তৈরি হবে।
  • বিদেশে জন্ম নেওয়া কানাডিয়ান পিতামাতার সন্তানদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে, তবে জন্ম বা দত্তক গ্রহণের আগে পিতামাতাকে কমপক্ষে ১,০৯৫ দিন কানাডায় থাকতে হবে।

কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন ল’য়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (CILA) বিলটির জন্য সংসদের স্থায়ী কমিটিতে জোরালো সমর্থন জানিয়েছে। তারা মনে করে, বিল সি-৩ দীর্ঘদিনের অসাংবিধানিক বাধা দূর করতে সাহায্য করবে।

আইনটি এখন মন্ত্রিসভার আদেশের অপেক্ষায় আছে। আদালত ইতোমধ্যেই এর কার্যকর হওয়ার সময়সীমা ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে বাড়িয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে বিদেশে জন্ম নেওয়া শিশু এবং নাগরিকত্ব হারানোদের আবেদন প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে অভিবাসন আইনজীবীরা আশা করছেন।

Side banner