সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ইউরোপের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের জন্য এক বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। শ্রমিক সংকটে থাকা ইতালি ঘোষণা দিয়েছে আগামী তিন বছরে (২০২৬–২০২৮) কমপক্ষে ৫ লাখ বিদেশি কর্মী নিয়োগের। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্যও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
ইতালির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনসা ও অভিবাসী বিষয়ক ইনফোমাইগ্রেন্টস জানিয়েছে, ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সম্প্রতি পাস হওয়া ১৪৬ নম্বর ‘সারকাতি চলতিরি ডিক্রি’-এর মাধ্যমে এই কর্মী নিয়োগ প্রকল্প কার্যকর করা হবে।
ডিক্রির আওতায় ২০২৬ সালে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০ জন বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। পরবর্তী তিন বছরে ধাপে ধাপে সংখ্যা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫০ জনে পৌঁছানো হবে। এর আগে ২০২৩–২০২৫ মেয়াদে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার ৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে।
নতুন ডিক্রি পার্লামেন্টে বিপুল সমর্থন পেয়েছে—পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৩১ জন আইনপ্রণেতা, বিপক্ষে ৭৫ জন।
ডিক্রিতে বিদেশি কর্মীদের জন্য বেশ কিছু নতুন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:
পরিবারসহ বিদেশি কর্মী আনার ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়ার সময় ৯০ দিন থেকে বেড়ে ১৫০ দিন হয়েছে। তবে আর্থিক বা সামাজিক নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করলে বসবাসের অনুমতি বাতিল বা নবায়ন বন্ধ করা যাবে।
কোন খাতে সুযোগ বেশি?
নতুন ডিক্রিতে যেসব খাতে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে, সেগুলোতে বাংলাদেশের কর্মীদের ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষ করে:
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা ইতালির শ্রমবাজারে দীর্ঘদিনের সুনামের কারণে নিয়োগদাতাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছেন।
ইতালির জনসংখ্যা সংকট ও বিদেশি শ্রমিকের গুরুত্ব
ইতালি বর্তমানে ভয়াবহ জনসংখ্যা সংকটে ভুগছে। জন্মহার কম, প্রবীণ জনগোষ্ঠী বেড়ে চলেছে এবং কর্মক্ষম তরুণের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিদেশি শ্রমিকরা অপরিহার্য। নতুন ডিক্রি সেই প্রেক্ষাপটেই বিদেশি কর্মী আমদানিকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্য নিয়েছে।