বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

কর্মচারীদের বেতনের জন্য সভাপতির ঘুষ

জীবন যাপন আগস্ট ২, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম
কর্মচারীদের বেতনের জন্য সভাপতির ঘুষ

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষ্ণনগর এমবিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি স্বপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগ, বেতন ভাতা উত্তোলনের জন্য স্ট্যাম্প ডিড পত্রে স্বাক্ষরের জন্য তিনি দশ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।

এ ঘটনায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক কর্মচারী ও এলাকাবাসী এক গণমিটিংয়ের আয়োজন করেন। কিন্তু সভার শুরুতেই উভয়ে পক্ষের চরম উত্তেজনা দেখা যায়। দফায় দফায় পরিস্থিতি মারমুখী পর্যায়ে গেলে মিটিং পণ্ড হয়ে যায়। 

অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের জন্য প্রতিবছর ব্যংকে ৬০০ টাকার স্টাম্পে কমিটি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে খুলনা রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের সদন শাখায় ডিড পত্রে স্বাক্ষরের বিনিময়ে সভাপতি দশ হাজার টাকা দাবি করেন। সভাপতির দাবি করা টাকা সমান হারে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। এ জন্য প্রতিষ্ঠানের প্যাডে শিক্ষক কর্মচারীদের স্বাক্ষরও নেয়া হয়। 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রসেঞ্জিত মল্লিক গণমিটিংয়ে বলেন, বর্তমান সভাপতি স্বপন বিশ্বাস অ্যাডহক কমিটিতে আসার পর থেকে যাকে তাকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে আমাদের মনে খুব কষ্ট রয়েছে। এই কথাগুলো সবার সামনে বলার জন্য উদগ্রীব ছিলাম। তাই সব শিক্ষক কর্মচারী সিদ্ধান্ত নিয়ে এই গণমিটিং আহ্বান করেছি।

সহকারী শিক্ষক মহেশ্বর হালদার বলেন,  প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে সভাপতি মহোদয় টাকা গ্রহণের কথা শিকার করে আমাকে বলেছেন, তোমরা যে দশ হাজার টাকা দিয়েছিলে আমি তা নিয়েছি। তবে আমি কোনো লিখিত দেইনি। গণমিটিংয়ে তিনি সভাপতির গালিগালাজ ও হুমকি ধামকির ফিরিস্তি তুলে ধরলে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিচরণ হালদার বলেন, সভাপতি মহোদয়ের দাবিকৃত টাকা সব শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে আদায় করে উনাকে দেয়া হয়েছে। অন্যথায় সভাপতি ডিড পত্রে স্বাক্ষর করতে চাননি।
 
শিক্ষকদের বক্তব্যে উভর পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চিল্লাচিল্লি ও ধাক্কাধাক্কির চরম পর্যায়ে মিটিং পণ্ড হয়ে যায়। শিক্ষকদের একটি পক্ষ তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা জিম্মিদশা থেকে শিক্ষকদের মুক্ত করেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে টাকা লেনদেনের ঘটনা মিথ্যা দাবি করে বিদ্যালয়ের সভাপতি স্বপন বিশ্বাস বলেন, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।

Side banner