বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১
শরীরে প্রোটিনের সহজ জোগান হিসেবে ডিম আমাদের সবারই খুব প্রিয়। দিনে একাধিক ডিমও অনেকে খেয়ে থাকেন। ডিমের পোচ, ডিমের অমলেট, ডিম সেদ্ধ-- এই তিন খাবার অসম্ভব জনপ্রিয়ও। ডিম ভাঙার পর কখনও কুসুমে লাল রক্তের দাগ খেয়াল করেছেন? অনেক সময় মাংসের টুকরোও লক্ষ্য করা যায়। এমন ডিম যদি খেয়েও ফেলেন তাহলে কী হয় শরীরে? চলুন জেনে নিই...
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ থাকলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়, যদি সেটা ভালো করে রান্না করা হয়। অর্থাৎ সঠিক সময় ধরে যদি সেটি ভাজা বা সেদ্ধ করা হয়, তাহলে সেই ডিম খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। অনেকে আবার রক্তের অংশটি চামচ দিয়ে তুলে নিয়ে রান্না করেন, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই।
জানা গেছে, ডিম্বনালী দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় অনেক সময়ই তাতে মাংসের টুকরো বা রক্ত মিশে যায়। এতে শরীরে ক্ষতি করার মতো কিছু থাকে না। জানা গেছে, ডিম্বনালী দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় অনেক সময়ই তাতে মাংসের টুকরো বা রক্ত মিশে যায়। এতে শরীরে ক্ষতি করার মতো কিছু থাকে না।
তবে যদি ডিমের সাদা অংশটি কখনও গোলাপি, লাল বা সবুজ রঙের হয়, তাহলে কিন্তু সেই ডিম শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ডিমে কোনও বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবের ফলেই সেটির রং বদলে যায়। এক্ষেত্রে এমন ডিম ফেলে দিতে হবে।
সাধারণত ১ শতাংশ ডিমের কুসুমে এমন রক্তের দাগ দেখা যায়। ডিম বাজারে আসার আগে সেটি ক্যান্ডলিং পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। জোরালো আলো দিয়ে কুসুমের ভিতরটি দেখা হয়, সেখানেই রক্তের দাগযুক্ত ডিম বাতিল হয়ে যায়। ফলে খুব কম সময়ই এমন ডিম আমাদের হাতে পড়ে।
তবে সাদা খোলের চেয়ে খয়েরি রঙের খোলযুক্ত ডিমে রক্তের দাগযুক্ত কুসুম বেশি পাওয়া যায়। কারণ খয়েরি খোলের রং অনেক সময়ই সেই দাগকে ঢেকে দেয়। ফলে পরীক্ষার সময় সেটি ধরা পড়ে না। বাজারে চলে আসে। তবে অনেক সময় ডিমের সাদা অংশেও রক্তের দাগ দেখা যায়। এতেও শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।